আজ সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

যে ৬টি খাবার আপনার শিশুর ক্যালরির চাহিদা পূরণ করবে

প্রতিটি বাবা-মা ই সন্তানের ওজন নিয়ে চিন্তায় থাকেন। ওজন কম থাকা যেমন চিন্তার বিষয়, তেমনি অতিরিক্ত ওজনও হয়ে থাকে চিন্তার কারণ। আপনি জানেন কি, প্রতিদিনের খাবারে একটুখানি সতর্কতা আপনাকে এই চিন্তা থেকে মুক্তি দিতে পারে? প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ক্যালোরিযুক্ত খাবার যোগ করে বৃদ্ধি করতে পারেন আপনার সন্তানের ওজন। আবার জাঙ্ক ফুড, বাজে ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন শিশুর অতিরিক্ত ওজন। কিছু খাবার আছে যা শিশুর প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় রাখুন।

এই খাবারগুলো শিশুর ক্যালোরির চাহিদা পূরণ করে স্বাস্থ্য রক্ষা করেও ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

অ্যাভাকাডো

ক্যালরির প্রধান উৎস হল অ্যাভোকাডো। অ্যাভাকাডো শিশুর ক্যালোরির চাহিদা পুরণ করে ওজন বৃদ্ধি করে থাকে। এটি কলা, বিভিন্ন রকম সবজির সাথে মিশিয়ে শিশুকে খেতে দিতে পারেন।

দুধ

ফুল ক্রিম দুধ আপনার শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। ফুল ক্রিম দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ক্যালোরি রয়েছে। এক বছরের শিশুকে সকাল এবং সন্ধ্যায় এক গ্লাস করে দুই গ্লাস দুধ পান করান। এক বছরের নিচের শিশুদের জন্য মায়ের দুধই যথেষ্ট।

পনির

এক টুকরো পনির শিশুর ক্যালরির চাহিদা পূরণ করে থাকবে। সকালের নাস্তায় কিংবা বিকেলে খাবারে পনির বা চিজ খেতে দিন।

কলা

কার্বোহাইড্রেট এবং এনার্জির উৎস হল কলা। পাকা কলা এবং কাঁচা কলা উভয় ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন শিশুকে একটি করে কলা খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। কলা ক্যালোরির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ভিটামিন, মিনারেলসহ অনেকগুলো পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে দেবে।

ডিম

প্রোটিন এবং ক্যালোরির অন্যতম উৎস ডিম। ডিমের কুসুম শিশুকে ৮ মাস বয়স থেকে শুরু করতে পারেন। সম্পূর্ণ ডিম এক বছর বয়সের পর থেকে শিশুকে খেতে দিতে পারেন।

বাদাম

মজাদার এই খাবারটি ছোট বড় সবার বেশ পছন্দের। শুধু বাদাম অথবা বাদামের মিল্কশেক কিংবা অন্যান্য খাবারের সাথে বাদাম মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন শিশুকে। এটি শিশুর ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে মানসিক বিকাশ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
এছাড়া ক্যালরির চাহিদা পূরণের মিষ্টি আলু, ঘি, মাখন, অলিভ অয়েল ইত্যাদি খাবার খাওয়াতে পারেন। বাইরের খাবার জাঙ্ক ফুড, চিপস, ফাস্ট ফুড এই খাবারগুলো কম খাওয়ানো ভাল।